অনলাইন ডেস্ক :::
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে
বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এ গোলাবারুদ উদ্ধার
করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে ৬২টি
এসএনজি, ৫১টি ম্যাগাজিন, ৫টি পিস্তল, ২টি
ওয়াকিটকি, ২টি রকেটরঞ্চার, ৫৪টি
গ্রেনেড, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বোমা
তৈরির সরঞ্জাম, ডেটোনেটর ও গুলি।
বিশেষভাবে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে
ভরে দড়ি দিয়ে এসব অস্ত্র গাছের সঙ্গে
বেঁধে রাখা হয়েছিল। পুলিশের
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক
সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
রূপগঞ্জের ৫ নম্বর সেক্টরে ঘটনাস্থলের
কাছে প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন
আইজিপি। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (৩০
মে) রাতে রূপগঞ্জ থানার এসআই
শাজাহানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রূপগঞ্জ
উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বগলা গ্রামে
শরিফুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে
অভিযান চালায়। সেখানে একটি এম
সিক্সটিন রাইফেল উদ্ধার করা হয়। তবে
শরিফুলকে গ্রেফতার করা যায়নি। .
বৃহস্পতিবার শরিফুল একটি মাদক মামলায়
আদালতে হাজিরা দিতে যান। ফেরার পথে
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে
জেলা গোয়েন্দা ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের
টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে
গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞসাবাদ
করা হলে সে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুকিয়ে
রাখার কথা স্বীকার করে। শরিফুলের
দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিনগত
রাত ১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে
পুলিশ। রূপগঞ্জ উপশহরের ৩ নং সেক্টরের ব্লু
সিটি এলাকায় মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে
মাটি খনন করে দুটি এসএনজি উদ্ধার করা
হয়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল
স্বীকার করে, উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরে
আরও বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে।
পরে শরিফুলের দেখানো পথে ৫ নম্বর
সেক্টরের একটি লেকে তল্লাশি চালানো
হয়। লেক থেকে দড়ি দিয়ে একটি গাছের
সঙ্গে বাঁধা একটি ব্যাগ দেখতে পায় পুলিশ।
পরে পুলিশ ওই দড়ি টেনে একে একে আটটি
প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বিশেষভাবে
মোড়ানো বাকি ৬০ এসএমজি উদ্ধার করে।
রাতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এনে ওই
লেকে তল্লাশি চালিয়ে বাকি গোলাবারুদ
উদ্ধার করা হয়। .
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সেই
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কোনও অপরাধী
চক্র এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোরাবারুদ
এনে থাকতে পারে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি
আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। ওই
ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে এই সব অস্ত্র-
গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের
হাতে আরও অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে কিনা
খুঁজে দেখা হচ্ছে। কারা কী কারণে কী
উদ্দেশ্যে এই গোলাবারুদ মজুদ করেছে তা
শিগগিরই জানা যাবে।’
ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের
অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান,
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম,
অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান,
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক।
ব্যাগে করে ডোবায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল অস্ত্র ও গোলাবারুদ
Advertisemen
Advertisemen