চুয়াডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা উপজেলার গোয়ালবাড়ী গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে হাসান ও বিউটি নামের এক তরুণ ও গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিউটি একই গ্রামের সেন্টুর স্ত্রী। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) গ্রামে সালিশ বসার কথা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ছয়জনকে পুলিশ আটক করেছে। চলছে মামলার প্রৃস্তুতি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোয়ালবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসানুজ্জামান হাসান বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের সেন্টু রহমানের বাড়িতে যান। এ সময় অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের একটি ঘরে আটকে রাখে।
পরে বাড়ির সামনের একটি গাছে তাদের এক দড়িতে বাঁধা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা নির্যাতনের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালিশে বিচারের শর্তে তাদের দড়ির বাঁধন মুক্ত করা হয়। তবে সেন্টুর স্ত্রী বিউটিকে তুলে দেয়া হয় হাসানের বাড়িতে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার হাসান বলেন, সেন্টু দিনমজুর। আমি কামলা খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় গ্রামের ছাদেক আলীর ছেলে ওসমান, মোমের ছেলে মোহিত, আবদুল জামিলের ছেলে আবুল কালাম, জালালের ছেলে মতিয়ার, আসাদুলের ছেলে জামিল, মৃত রিকতির ছেলে সাদেকসহ বেশ ক’জন আমাদেরকে ঘর থেকে বের করে একটি গাছে দড়ি দিয়ে বাঁধেন। পরে তারা আমাদেরকে বেপরোয়া মারধর করেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদেরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালান তারা।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, এই নির্যাতন ঘটনার সাথে জড়িত যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের সকলকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।