নিজস্ব প্রতিবেদক : অক্টোবরের প্রথম তিন সপ্তাহ ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। তাই চলতি মাসের ১ থেকে ২২ তারিখ নদী ও সাগরে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। সে হিসেবে আজ রাত ১২টায় উঠছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা।
এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় ছিল নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা, এমনকি উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
জানা গেছে, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে মেঘনায় ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এবারের ইলিশ রক্ষার স্লোগান ছিল ‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিন’।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা যাবে না। প্রজননসক্ষম ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদী ও মোহনায় উঠে আসে। এ সময় ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আগামী ২২ দিন মা ইলিশ নিধন, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।